বুধবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০১২

হারূত-মারূত দুই ফেরেশতার অপরাধের কাহিনী


প্রশ্ন  : হারূত-মারূত দুই ফেরেশতার অপরাধের কাহিনী যদি মিথ্যা হবে তাহলে তাফসীর ইবনে কাছীরসহ অন্যান্য তাফসীর গ্রন্থে কেন বর্ণনা করা হয়েছে? সঠিক ঘটনাটি কী? কেন দুই ফেরেশতাকে দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছিল?

উত্তর : সুলায়মান (আঃ)-এর রাজত্বকালে বেঈমান জিনেরা লোকদের ধোঁকা দিত এই বলে যে, সুলায়মান জাদুর জোরে সবকিছু করেন। তিনি কোন নবী নন। শয়তানদের ভেল্কিবাজিতে বহু লোক বিভ্রান্ত হচ্ছিল। এমনকি শেষনবী মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর সময়েও যখন তিনি সুলায়মান (আঃ)-এর প্রশংসা করেন, তখন ইহুদী নেতারা বলেছিল, আশ্চর্যের বিষয় যে, মুহাম্মাদ সুলায়মানকে নবীদের মধ্যে শামিল করে হক ও বাতিলের মধ্যে সংমিশ্রণ ঘটাচ্ছেন। অথচ তিনি ছিলেন একজন জাদুকর মাত্র। নইলে স্বাভাবিকভাবে কোন মানুষ কি বায়ুর পিঠে সওয়ার হয়ে চলতে পারে? (ইবনু জারীর)
এক্ষণে সুলায়মান (আঃ) যে সত্য নবী, তিনি যে জাদুকর নন, জনগণকে সেটা বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য এবং নবীগণের মু
জেযা ও শয়তানদের জাদুর মধ্যে পার্থক্য বুঝাবার জন্য আল্লাহ পাক হারূত ও মারূত নামে দুজন ফেরেশতাকে বাবেল শহরে মানুষের বেশে পাঠিয়ে দেন। বাবেলল ইরাকের একটি প্রাচীন নগরী, যা ঐসময় জাদু বিদ্যার কেন্দ্র ছিল। ফেরেশতাদ্বয় সেখানে এসে জাদুর স্বরূপ ও ভেল্কিবাজি সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করতে থাকেন এবং জাদুকরদের অনুসরণ থেকে বিরত হয়ে যেন সবাই সুলায়মানের নবুঅতের অনুসারী হয়, সেকথা বলতে লাগলেন (নবীদের কাহিনী ২/১৫৬-৫৭)
অতঃপর বর্ণিত তাফসীর গ্রন্থ সমূহে এসব ইস্রাঈলী কাহিনী বর্ণিত হয়েছে এজন্য যে, মুমিন ব্যক্তিগণ যেন এইসব বানোয়াট গল্পে ধোঁকা না খান।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন