রবিবার, ৩১ জুলাই, ২০১১

এভাবে সংগৃহীত টাকা দ্বারা কৃত হজ কবুল হবে কি?


প্রশ্নঃ : জনৈক ব্যক্তি এবার সস্ত্রীক হজ্জে যাচ্ছেন। তাঁর সংগৃহীত টাকার প্রায় অর্ধেক নিম্ন বর্ণিত টাকা। যেমন বাইশ বছর আগে এক ব্যক্তি তাঁর নিকটে ১৬ শতাংশ আবাদী জমি বিক্রি করে। দাতা-গ্রহীতা উভয়েই শিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও ভুলক্রমে আবাদী জমির দাগ নং দলীলে লিখিত না হয়ে বাস্ত্ত ভিটা লিখিত হয়। এক্ষণে জমি খারিজ করতে গেলে ভুল ধরা পড়ে। আবাদী জমির মূল্য এক লাখ টাকাও হবে না। বিক্রেতা মারা গেছে। তার ছেলে মেয়েরা দলীল সংশোধন করে দিতে রাযী। কিন্তু ক্রেতা বাড়ীর জমি দখলে নিতে চায়। ফলে দাতার ওয়ারিছরা এক লাখ টাকার বিনিময়ে হাজীর নিকট থেকে বাস্ত্ত ভিটা ফিরিয়ে নিতে চায়। তাতে রাজী না হলে এক লাখ আশি হাযার টাকা দিয়ে হাজীর কাছ থেকে বাড়ী ভিটা দলীল করে নেয়। প্রশ্ন হচ্ছে, এভাবে সংগৃহীত টাকা দ্বারা কৃত হজ কবুল হবে কি?

উত্তর : উক্ত বিবরণ সঠিক হ
লে বিক্রেতার উপর ক্রেতা হাজী যুলুম করেছেন। যুলুমের মাধ্যমে অর্জিত টাকা হালাল নয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ পবিত্র, তিনি পবিত্র বস্তু ভিন্ন কবুল করেন না (মুসলিম; মিশকাত হা/২৭৬০ ক্রয়-বিক্রয় অধ্যায়)

ছাগল ব্যতীত অন্য কোন পশু দ্বারা আক্বীকা


প্রশ্ন  : ছাগল ব্যতীত অন্য কোন পশু দ্বারা আক্বীকা করা যায় কি? যেমন গরু, মহিষ প্রভৃতি।

উত্তর : ছাগল ব্যতীত অন্য কোন পশু যেমন গরু বা উট দ্বারা আক্বীকা দেয়ার কোন ছহীহ হাদীছ নেই। উট, গরু ও ছাগল দিয়ে আক্বীক্বা সম্পর্কে আনাস (রাঃ) হ
তে যে মরফূ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, তা মওযূ বা জাল (ত্বাবারাণী ছাগীর, ইরওয়া হা/১১৬৮, ৪/৩৯৩ পৃঃ)

যব, খেজুর, পণির দ্বারা ফিৎরা


প্রশ্ন  : রাসূল (ছাঃ)-এর যামানায় যব, খেজুর, পণির দ্বারা ফিৎরা দেয়া হত। তাঁরা যব দিয়েছেন। আমরা ধান দিচ্ছি। কারণ যবেরও খোসা আছে ধানেরও খোসা আছে। এক্ষণে চাউল দেওয়ার দলীল জানিয়ে বাধিত করবেন।

উত্তর : খোসা সহ বা খোসা বিহীন সর্বাবস্থায় গমকে গম এবং যবকে যব বলা হয় এবং তা ছিল সে সময় আরবদের সরাসরি খাদ্যের অন্তর্ভুক্ত। আর সেজন্য তা দিয়ে ফিৎরা দেওয়া হ
ত। পক্ষান্তরে খোসা বিহীন ধানকে চাউল বলা হয়, যা সরাসরি খাদ্য। সেকারণ চাউল দিয়েই ফিৎরা দিতে হয়। ধান দিয়ে নয়। কেননা ধান সরাসরি খাদ্য নয়। হাদীছে খাদ্য দিয়ে ফিৎরা দেওয়ার কথা এসেছে (বুখারী হা/১৫০৬, ৮, ১০; মুসলিম হা/২২৮৩-৮৪; মিশকাত হা/১৮১৬)

স্বামীর অগোচরে স্ত্রী তার সম্পদ দান করতে পারবে কি?


প্রশ্ন  : স্বামীর অগোচরে স্ত্রী তার সম্পদ দান করতে পারবে কি?

উত্তর : স্ত্রী যদি মনে করে স্বামী জানতে পারলে মেনে নিবেন না, তাহ
লে দান করতে পারবে না। কারণ স্বামীর অনুমতি ছাড়া দান করা নিষেধ (তিরমিযী, মিশকাত হা/১৯৫১, সনদ হাসান)। সংসার ধ্বংসকর নয় এমন দান করা যাবে। এতে স্ত্রী, স্বামী এবং রক্ষণাবেক্ষণকারীও ছওয়াব পাবে (বুখারী হা/১৪২৫; মুসলিম হা/১০২৪; মিশকাত হা/১৯৪৭)। অন্য হাদীছে এসেছে, স্বামীর নির্দেশ ছাড়া দান করলে স্ত্রী অর্ধেক ছওয়াব পাবে (বুখারী হা/২০৬৬; মিশকাত হা/১৯৪৮)

প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কুকুর


প্রশ্ন  : প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কুকুরকে বিসমিল্লাহ বলে ছেড়ে দিলে, হালাল পশু শিকার করে মৃত অবস্থায় আনলে খাওয়া যাবে এবং কুকুরকে বাড়িতে রাখলে এক ওহোদ পাহাড় পরিমাণ নেকী নষ্ট হয়ে যাবে। এসব কথা কি সত্য?

উত্তর : প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কুকুরের ক্ষেত্রে দু
টি শর্ত রয়েছেঃ (১) যদি কুকুরটি নিজে মৃত পশুর কিছু অংশ না খেয়ে ফেলে (২) শিকার করার সময় অন্য কোন কুকুর যেন প্রশিক্ষিত কুকুরের সাথে শামিল না হয় (ছহীহ তিরমিযী হা/১৪৭০; ছহীহ নাসাঈ হা/৪২৬৫)। তিন শ্রেণীর কুকুর ছাড়া অন্য কোন কুকুর বাড়িতে রাখলে এক ক্বীরাত সমপরিমাণ নেকী কমে যাবে। সেগুলো হচ্ছে (১) পশু চরানোর কুকুর (২) শিকারী কুকুর (৩) ক্ষেত পাহারার কুকুর। উল্লেখ্য, এ তিন শ্রেণীর কুকুরই প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কুকুর (ছহীহ মুসলিম হা/১৫৭৫, কিতাবুল মুসাক্বাত; ছহীহ তিরমিযী হা/১৪৮৯)। তবে চোখের উপর সাদা চিহ্ন ওয়ালা কুচকুচে কালো কুকুর কোন অবস্থাতেই গ্রহণ করা যাবে না। কারণ এগুলো শয়তান, একে হত্যা করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে (মুসলিম, মিশকাত হা/৪১০০, শিকার ও যবহ অধ্যায়, কুকুরের বর্ণনা অনুচ্ছেদ)

শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০১১

কোন ঈদগাহ বা মসজিদে


প্রশ্ন  : কোন ঈদগাহ বা মসজিদে মহিলাদের জন্য বিশেষ জায়গা সংরক্ষণ করা আছে; কিন্তু পুরুষ মুছল্লীদের দুই বা তিনটা কাতার খালি থাকে। এমতাবস্থায় মহিলারা ইমামের ইক্তেদা করতে পারবে কি?

উত্তর : মহিলারা মহিলাদের নির্ধারিত স্থানেই ছালাত আদায় করবে। পুরুষদের জায়গা খালি থাকার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। এতে ইমামের ইক্তেদা করতে কোন বাধা নেই (বুখারী হা/৭২৯)

আগুনে পুড়ে, পানিতে ডুবে এবং গাড়ী দুর্ঘটনায় মারা গেলে


প্রশ্ন  : আগুনে পুড়ে, পানিতে ডুবে এবং গাড়ী দুর্ঘটনায় মারা গেলে তাদের হিসাব হবে কি? অনেকে বলে তাদের হিসাব হবে না। তারা শহীদ।

উত্তর : হিসাব হবে। হিসাব হবে না মর্মে কোন দলীল পাওয়া যায় না। তবে আগুনে পুড়ে, পানিতে ডুবে, দেয়াল চাপা পড়ে মারা গেলে শহীদের মর্যাদা পাবে মর্মে ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (ছহীহ আবূদাঊদ হা/৩১১১; ছহীহ নাসাঈ হা/১৮৪৬)। বিনা হিসাবে জান্নাতে যাবেন ৭০ হাযার মুমিন, যারা ঝাড়-ফুঁক নেননি, যারা অশুভ লক্ষণকে গ্রাহ্য করেননি এবং যারা সর্বাবস্থায় আল্লাহর উপর ভরসা করেছেন (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৫২৯৫,
রিক্বাক্ব অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৪)

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রুকূ থেকে মাথা উঠিয়ে


প্রশ্ন  : বুখারী ১ম খন্ড হাদীছ নং ৬৯১ ও ৬৯৪ হতে জানা যায় যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রুকূ থেকে মাথা উঠিয়ে হাত তুলে রেখে ... লাকাল হামদ পর্যন্ত বলতেন। আবার আইনে তুহফা সালাতে মুস্তফা ১ম খন্ড ২৪৪-২৫০ পৃষ্ঠায় হাত তুলে রাখা ও ছেড়ে দেওয়া দুটি করা যাবে বলে দলীল সহ আলোচনা করা হয়েছে। ছালাতুর রাসূল (ছাঃ)-এ শুধু হাত তোলার কথা বলা হয়েছে, কিন্তু এর সময় উল্লেখ করা হয়নি। এর সমাধান জানিয়ে বাধিত করবেন।

উত্তর : হাত উঠিয়ে কতক্ষণ রাখতে হবে তা বুখারী কেন কোন হাদীছেই বলা হয়নি; বরং কোন্ পর্যন্ত হাত উঠাতে হবে তা বলা হয়েছে। অতএব ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) বইয়ে যেভাবে বলা হয়েছে সেটিই সঠিক।

আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই


প্রশ্ন : আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই (রূম ৩০)। কিন্তু আমাদের এলাকায় একজন মহিলা পুরুষে রূপান্তরিত হয়েছে। এটা কি ধরনের পরিবর্তন?

উত্তর : এটি স্বাভাবিক পরিবর্তন। আল্লাহ যা খুশী তাই করতে পারেন। উক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা হচ্ছে- আল্লাহর সৃষ্টির চিরন্তন নিয়মের কোন পরিবর্তন নেই। এর ব্যতিক্রম কেবল তার হুকুমেই হ
তে পারে। যেমন মারিয়াম ও ঈসার বেলায় হয়েছিল। আরেকটি ব্যাখ্যা হল, তোমরা আল্লাহর সৃষ্টিকে পরিবর্তন করো না (তাফসীর ইবনু কাছীর)। অর্থাৎ কোন মানুষ নিজের পক্ষ থেকে শরীরের কোন অঙ্গ পরিবর্তন করতে পারবে না। এটা নিষিদ্ধ। কিন্তু যদি লিঙ্গ বা অন্য কোন অংশের পরিবর্তন আপনা আপনি ঘটে যায়, তাহলে সেটা আল্লাহর পক্ষ থেকে হয়েছে। আল্লাহ সৃষ্টিকর্তা হিসাবে যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন (বুরূজ ১৬)। এছাড়া আল্লাহ কিছু পাপের শাস্তি হিসাবেও মানুষকে অন্যরূপে রূপান্তরিত করে থাকেন (বুখারী, ছহীহ আবূদাঊদ হা/৪০৩৯)। যেমন অবাধ্য ইহুদীদেরকে তিনি বানর-শূকরে রূপান্তরিত করেছিলেন (বাক্বারাহ ৬৫)

যে ব্যক্তি ছালাত আদায় করে না, তার জানাযা


প্রশ্ন  : যে ব্যক্তি ছালাত আদায় করে না, তার জানাযা পড়তে হবে কি? কারো ব্যাপারে সন্দেহ থাকলে কিংবা অজ্ঞাত থাকলে করণীয় কি?
 
উত্তর : ইচ্ছাকৃতভাবে ছালাত তরককারী অথবা ছালাত ফরয হওয়াকে অস্বীকারকারী ব্যক্তি কাফির ও জাহান্নামী। ঐ ব্যক্তি ইসলাম হতে বহিষ্কৃত। কিন্তু যে ব্যক্তি ঈমান রাখে, অথচ অলসতা ও ব্যস্ততার অজুহাতে ছালাত তরক করে, সে ব্যক্তি কবীরা গোনাহগার। তার জানাযা বড় কোন মুত্তাক্বী আলেম পড়াবেন না (বিস্তারিত দ্রঃ ছালাতুর রাসূল, পৃঃ ১৮-২০)। আর যে ব্যক্তির অবস্থা অজ্ঞাত এবং যার ব্যাপারটা অস্পষ্ট ও সন্দেহযুক্ত, তার জানাযা পড়তে হবে।

বুধবার, ২৭ জুলাই, ২০১১

তিন রাক‘আত বিতর একটানা পড়া


প্রশ্ন  : তিন রাকআত বিতর একটানা পড়া যাবে কি?
 
উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
বিতর ছালাত আবশ্যিক (حق)। যে ব্যক্তি ইচ্ছা করে সে ৫ রাকআত পড়ুক, যে ইচ্ছা করে ৩ রাকআত পড়ুক, যে ইচ্ছা করে ১ রাকআত পড়ুক (ইবনু মাজাহ, দারাকুৎনী হা/১৬২৫, সনদ ছহীহ)। এক্ষণে বিতর কিভাবে পড়বে, সে বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ইমাম আহমাদ বলেন, বর্ণিত কোনটাতেই সমস্যা নেই। তবে আমি পসন্দ করি প্রতি দুরাকআত অন্তর সালাম ফিরিয়ে শেষে এক রাকআত বিতর পড়া। আর স্রেফ এক রাকআত বিতর পড়া উচিত নয়, যতক্ষণ না তার পূর্বে কোন নফল ছালাত থাকে (এটা কেবল ফজরের পরে পড়া যায়, যখন বিতর ক্বাযা হয়)। তিনি বলেন, যদি কেউ তিন রাকআত একটানা পড়ে, তাতে আমার অন্তরে কোন সংকোচ আসে না। তবে আমার কাছে পসন্দনীয় হল দুরাকআত পর সালাম ফিরানো। কেননা এ বিষয়ে হাদীছগুলি সংখ্যায় অধিক এবং অধিক শক্তিশালী (মাসায়েলে ইমাম আহমাদ, মাসআলা নং ৪৪১-৪২; মুগনী ২/৭৮২-৮৪; যাদুল মাআদ ১/৩১৯-২০)। তবে ক্বাযী আয়ায বলেন, পূর্বে নফল ছাড়াই কেবল এক রাকআত বিতর পড়া মকরূহ নয়। কেননা হাদীছে স্রেফ এক রাকআত বিতরের কথা এসেছে (মাসায়েলে ইমাম আহমাদ, মাসআলা নং ৪৪২, টীকা-২, ২/৩১৫ পৃঃ)
তিন রাক
আত বিতর ছালাতের ক্ষেত্রে দুই রাকআত পড়ার পর সালাম ফিরিয়ে অতঃপর এক রাকআত পড়বে (আলবানী, ছালাতুত তারাবীহ, পৃঃ ১০৩-৫)। উল্লেখ্য যে, একটানা তিন রাকআত পড়ার হাদীছ নির্ভরযোগ্য নয়। তাতে ত্রুটি রয়েছে (ইরওয়া হা/৪২১-এর আলোচনা দ্রঃ)। মাঝে বৈঠক করে মাগরিবের ন্যায় তিন রাকআত বিতর পড়তে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) নিষেধ করেছেন (দারাকুৎনী হা/১৬৩৪, সনদ ছহীহ)। সুতরাং বিতর এক রাকআত পড়তেই হবে। অথচ হানাফী মাযহাবে এক রাকআত বিতর ছালাতকে ছালাত হিসাবেই গণ্য করা হয়নি। যা ছহীহ হাদীছ সমূহের বিরোধী। অতএব উত্তম হল তিন রাকআত বিতর দুই সালামে পড়া। এতে কোন মতভেদ নেই। (মুসলিম শরহ নববী বিতর অধ্যায়)

পিতা-মাতার নামে কসম খাওয়া


প্রশ্ন  :  পিতা-মাতার নামে কসম খাওয়া যাবে কি? রাসূল (ছাঃ) নিজের পিতার নামে কসম খেয়েছেন (আবুদাউদ)।

উত্তর : পিতা-মাতার নামে কসম খাওয়া যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেছেন তোমাদের বাপ-দাদাদের নামে কসম করতে। যে ব্যক্তি কসম করতে চায়, সে যেন আল্লাহর নামে কসম করে, অথবা চুপ থাকে
(মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৩৪০৭ কসম ও মানত অধ্যায়)। আবুদাঊদে বর্ণিত উক্ত হাদীছটি যঈফ (যঈফ আবুদাঊদ হা/৩৮১৭; মিশকাত হা/৪২৬১ খাদ্যসমূহ অধ্যায় ২ অনুচ্ছেদ)

ইসলামী সম্মেলনের মঞ্চে জাগরণী বলা যাবে না


প্রশ্ন : জনৈক আলেম বলেন, ইসলামী সম্মেলনের মঞ্চে জাগরণী বলা যাবে না। উক্ত দাবী কি সঠিক?

উত্তর : উক্ত দাবী সঠিক নয়। হাস্সান বিন ছাবিত (রাঃ)-এর জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) মসজিদে একটি মিম্বর তৈরি করেছিলেন ইসলামের পক্ষে কবিতা বলার জন্য (বুখারী, মিশকাত হা/৪৮০৫
শিষ্টাচার অধ্যায় ৯ অনুচ্ছেদ; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৪৫৯৫)

‘কথার পূর্বেই সালাম’


প্রশ্ন  : কথার পূর্বেই সালাম মর্মে বর্ণিত হাদীছটি কি ছহীহ?

উত্তর : তিরমিযী বর্ণিত উক্ত হাদীছটি অন্যান্য সমার্থক হাদীছের কারণে ছহীহ (আলবানী, ছহীহ তিরমিযী হা/২৬৯৯)। আর তা হ
ল যেমন, السَّلاَمُ قَبْلَ السُّؤَالِ، مَنْ بَدَأَ بِالسُّؤَالِ قَبْلَ السَّلامِ فَلا تُجِيْبُوْهُ প্রশ্নের পূর্বেই সালাম। যে ব্যক্তি সালাম না দিয়ে প্রশ্ন শুরু করবে, তোমরা তার উত্তর দিয়ো না (ইবনু আদী, ত্বাবারাণী, সনদ হাসান)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, لاَ تَأْذَنُوْا لِمَنْ لَمْ يَبْدَأْ بِالسَّلاَمِ যে ব্যক্তি সালাম দিয়ে শুরু করবে না তাকে অনুমতি দিয়ো না (বায়হাক্বী, শুআবুল ঈমান হা/৮৮১৬; সনদ হাসান)। এছাড়াও উক্ত মর্মে আরো হাদীছ বর্ণিত হয়েছে (দ্রঃ সিলসিলা ছহীহাহ হা/৮১৬-১৯)

এক মহিলার ঋতু সাধারণত ৭ দিনে


প্রশ্ন  : এক মহিলার ঋতু সাধারণত ৭ দিনে শেষ হয়। তাই সে সাতদিন পর কুরআন তেলাওয়াতসহ অন্যান্য ইবাদত শুরু করে। কিন্তু পরে আবার রক্ত দেখতে পায়। এতে কি তার গোনাহ হবে?

উত্তর : উক্ত অবস্থায় ইবাদত শুরু করাই যরূরী। কারণ নারীদের ঋতু অবস্থায় থাকার সাধারণত সময় হচ্ছে ৬ দিন বা ৭ দিন (বাকীটা প্রদর রোগ)। (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৫৬১
ইস্তিহাযা অনুচ্ছেদ)

সোমবার, ২৫ জুলাই, ২০১১

প্রতি মাসে ৮/১০ দিন ঢাকায়


প্রশ্ন  : আমি একজন রিক্সা চালক। প্রতি মাসে ৮/১০ দিন ঢাকায় এসে রিক্সা চালাতে হয়। এক্ষেত্রে আমি ছালাত ক্বছর করতে পারি কি?

উত্তর : পারবেন। কেননা আপনি ঐ সময় মুসাফির (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১৩৩৬
সফরের ছালাত অনুচ্ছেদ)

এক্বামতের শেষে আল্লাহু আকবার কতবার বলবে


প্রশ্ন  : এক্বামতের শেষে আল্লাহু আকবার কতবার বলবে এই নিয়ে আমাদের এলাকায় মতপার্থক্য বিরাজ করছে। একবার বলবে না দুইবার বলবে? দলীল ভিত্তিক সমাধান চাই।

উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) যেভাবে এক্বামতের শব্দগুলো শিক্ষা দিয়েছেন সেভাবেই বলতে হবে। উক্ত মতপার্থক্যের প্রশ্নই আসে না। যেমন-
اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ، أَشْهَدُ أَنْ لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ، أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ، حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ، حَىَّ عَلَى الْفَلاَحِ، قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ قَدْ قَامَتِ الصَّلاَةُ، اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّه.
(আবুদাঊদ হা/৪৯৯)। অতএব শেষে একবার আল্লাহু আকবার বলা যাবে না; বরং দু
বার বলতে হবে। কারণ এটি একটি জোড় বাক্য হিসাবে মার্রাতান বলা হয়েছে। একে ভাঙ্গা যাবে না (দ্রঃ ছালাতুর রাসূল (ছাঃ), পৃঃ ৪০)

জুম‘আর দিন মাথায় পাগড়ী বাঁধা কি সুন্নাত?


প্রশ্ন  : জুমআর দিন মাথায় পাগড়ী বাঁধা কি সুন্নাত?

উত্তর : জুম
আর দিন মাথায় পাগড়ী বাঁধা কোন যরূরী সুন্নাত নয়। রাসূলুল্লাহ  (ছাঃ) বিভিন্ন সময়ে মাথায় পাগড়ী বাঁধতেন। আমর ইবনু হুরায়েছ (রাঃ) বলেন, নবী করীম (ছাঃ) জুমআর খুৎবা দিলেন, তখন তাঁর উপর কাল পাগড়ী ছিল। যার দুমাথা কাঁধের মাঝে ঝুলছিল (মুসলিম, মিশকাত হা/১৪১১)। জাবের (রাঃ) বলেন, মক্কা বিজয়ের দিন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বিনা ইহরামে যখন কাবা গৃহে ঢুকলেন, তখন তাঁর মাথায় কালো পাগড়ী ছিল (ইবনু মাজাহ হা/২৮২২)। অতএব এটি কেবল জুমআর জন্য খাছ নয়।
পৃথিবীর প্রায় সকল জাতির মধ্যেই ভদ্র পোষাক হিসাবে মস্তকাবরণ ব্যবহার করার প্রচলন ছিল বা এখনো আছে। আরবদের মধ্যেও এ প্রচলন ছিল। মাথার সাথে লেগে থাকা টুপী বা পাগড়ী, শুধু টুপী বা শুধু পাগড়ী বা পাগড়ী ছাড়াই কোন কাপড়ের আবরণ পরিধান করা তাদের অভ্যাসের মধ্যে ছিল, যা এখনো আছে। টুপীকে কালানসুওয়াহ, বুরনুস, কুম্মাহ, পাগড়ীকে
এমামাহ (عِمَامةِ) , কাপড়ের মস্তকাবরণকে এছাবাহ (عِصَابة) বলা হত। এগুলি যেকোন রংয়ের হত। ইসলাম আসার পর এগুলি নিষিদ্ধ হয়নি। এগুলি ছালাতের জন্য খাছ ছিল না। বরং ছালাতের বাইরেও যেকোন ভদ্র পরিবেশে ব্যবহার করা হত। তেমনি মাথা খুলেও রাখা হত।

ঈদগাহে ছালাত শেষে মুছল্লীদের নিকট


প্রশ্ন  : ঈদগাহে ছালাত শেষে মুছল্লীদের নিকট হতে ইমামের জন্য টাকা উঠানো যাবে কি?

উত্তর : ছালাতের পর টাকা উঠনো জায়েয। রাসূল (ছাঃ) ছালাতের খুৎবা শেষে দান করার জন্য বলতেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/১৪৫২)। ফী সাবীলিল্লাহ টাকা উঠানোর পর তা প্রয়োজনীয় খাতে ব্যয় করতে হবে।

শনিবার, ২৩ জুলাই, ২০১১

আছর ছালাতের সঠিক সময়


প্রশ্ন  : আছর ছালাতের সঠিক সময় জানিয়ে বাধিত করবেন।

উত্তর : বস্তর মূল ছায়ার একগুণ হওয়ার পর হ
তে আছরের ছালাতের ওয়াক্ত শুরু হয় এবং দুগুণ হলে শেষ হয় (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৫৮৩)

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১১

এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে ১ বিঘা জমি বিক্রয়


প্রশ্ন  : আমার পিতা ১০ বছর আগে এক ব্যক্তির নিকট এক লক্ষ টাকার বিনিময়ে ১ বিঘা জমি বিক্রয় করেছিলেন। এটা আমি জানি। কিন্তু জমি রেজিষ্ট্রি করা হয়নি। ইতিমধ্যে আমার পিতা মারা গেছেন। আমার এখন করণীয় কী?

উত্তর : এখন করণীয় হচ্ছে যরূরী ভিত্তিতে ক্রেতাকে জমি রেজিষ্ট্রি করে দেয়া। যদি বিক্রেতা ঐ জমি ভোগ করে থাকে তাহ
লে ১০ বছর যাবৎ ঐ জমিতে যে শস্য উৎপাদিত হয়েছে, এলাকায় প্রচলিত বর্গার নিয়ম মোতাবেক সেই পরিমাণ ভাগরা ফসল তাকে দিতে হবে অথবা উভয়ের সম্মতিতে ফায়ছালা হবে। অন্যথায় মানুষের হক নষ্ট করা হবে, যা হারাম।

এক মুষ্টি দাড়ির অতিরিক্ত অংশ ছেটে ফেলা যায়


প্রশ্ন  : প্রশ্নোত্তর পর্বে ডাঃ যাকির নায়েক বলেছেন, এক মুষ্টি দাড়ির অতিরিক্ত অংশ ছেটে ফেলা যায় (বুখারী)। এর সমাধান জানতে চাই?

উত্তর : রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দাড়ি ছাটতেন এ মর্মে কোন ছহীহ হাদীছ নেই। ছহীহ বুখারীতে থাকার প্রশ্নই আসে না। বরং উম্মতের উদ্দেশ্যে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর দ্ব্যর্থহীন ঘোষণা হ
ল, তোমরা মুশরিকদের বিরোধিতা কর। দাড়ি লম্বা কর, গোঁফ ছোট কর (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, বুখারী হা/৫৮৯২; মিশকাত হা/৪৪২১)। তিনি দাড়ি ছাটতেন মর্মে তিরমিযীতে যে হাদীছটি বর্ণিত হয়েছে তা জাল বা মিথ্যা (যঈফ তিরমিযী হা/২৭৬২; সিলসিলা যঈফাহ হা/২৮৮, ১/৪৫৬ পৃঃ)। শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, وَاعْلَمَ أَنَّهُ لَمْ يَثْبُتْ فِيْ حَدِيْثٍ صَحِيْحٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ الأَخْذُ مِنَ اللِّحْيَةِ لاَ قَوْلاً ... وَلاَ فِعْلاً জেনে রাখ হে পাঠক! দাড়ি ছাটার পক্ষে রাসূল (ছাঃ) থেকে একটি ছহীহ হাদীছও সাব্যস্ত হয়নি। না তার কথা দ্বারা ... না তার কাজ দ্বারা (আলোচনা দ্রঃ সিলসিলা যঈফাহ ৫/৩৭৬ পৃঃ, হা/২৩৫৫)
উল্লেখ্য, ইবনু ওমর (রাঃ) যখন হজ্জ বা ওমরাহ করতেন, তখন তিনি তাঁর দাড়ি মুষ্টি করে ধরতেন এবং মুষ্টির বাইরে যতটুকু বেশী থাকত, তা কেটে ফেলতেন (বুখারী হা/৫৮৯২, পোষাক
অধ্যায়-৮০, অনুচ্ছেদ-৬২)। বর্ণনাটি মুসলিমেও আছে বলে উল্লেখ করেছেন। মূলতঃ মুসলিমে নেই।
প্রথমতঃ এটি তার ব্যক্তিগত আমল। অন্য কোন ছাহাবী এমনটি করেছেন মর্মে দলীল পাওয়া যায় না। আর তিনি কাউকে করার জন্য নির্দেশও দেননি। দ্বিতীয়তঃ তিনি শুধু হজ্জ ও ওমরার সময় করেছেন। তৃতীয়তঃ ছাহাবীর আমল রাসূলের আমল নয়। চতুর্থতঃ এটি ব্যাখ্যাগত বিষয় যা স্পষ্ট দলীলের কাছে টিকে না। তিনি হয়ত উক্ত মৌসুমে মাথা কামিয়ে ও দাড়ি ছেটে উভয় নেকী পেতে চেয়েছেন (হজ্জ ২৯; ফাতহ ২৭)। তবে জানা উচিত, উক্ত আয়াত রাসূলের উপরই নাযিল হয়েছে। কিন্তু তিনি দাড়ি ছাটার কথা বলেননি।
এই মতানৈক্যের ঊর্ধ্বে থেকে একনিষ্ঠ মুমিনকে রাসূল (ছাঃ)-এর প্রতিষ্ঠিত সুন্নাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিতে হবে। যা ইবনু ওমরের বক্তব্য দ্বারাই প্রমাণিত হয়। ওমর (রাঃ)-এর আমলের সাথে রাসূল (ছাঃ)-এর আমলের দ্বন্দ্ব হলে ইবনু ওমরকে প্রশ্ন করা হয়। তখন তিনি উত্তরে বলেন,
أَفَرَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَحَقُّ أَنْ تَتَّبِعُوا سُنَّتَهُ أَمْ سُنَّةَ عُمَرَ তোমাদের জন্য রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাত অধিক অনুসরণযোগ্য না ওমরের সুন্নাত (মুসনাদে আহমাদ হা/৫৭০০; তিরমিযী হা/৮২৪, হজ্জ অধ্যায়, তামাত্তু অনুচ্ছেদ, সনদ ছহীহ)
শায়খ আলবানী (রহঃ)-কে এ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হ
লে তিনি বলেন, الذي نختاره القبضة والمسألة فيها نظر والأحسن اتباع السنة على كل حال আমরা পসন্দ করি তা হল এক মুষ্টি। তবে উক্ত মাসআলাতে ত্রুটি রয়েছে। কারণ সর্বাধিক উত্তম হল সর্বাবস্থায় রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাতের অনুসরণ করা (দুরূসুন লিশ শায়খ আলবানী, পৃঃ ১১)

নিছাব পরিমাণ সম্পদ আছে


প্রশ্ন  : নিছাব পরিমাণ সম্পদ আছে তবে কর্য তার চেয়ে বেশী আছে। এ অবস্থায় করণীয় কী?

উত্তর : সংসার পরিচালনার জন্য কর্য হয়ে থাকলে প্রথমে কর্য পরিশোধ করতে হবে। কারণ কর্য রেখে সম্পদ সঞ্চিত হয় না। তবে ব্যবসা বা নির্মাণ কাজের জন্য কর্য নিলে প্রথমে যাকাত দিতে হবে তারপর কর্য পরিশোধ করতে হবে।

প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমাকৃত টাকা


প্রশ্ন  : প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমাকৃত টাকার যাকাত দিতে হবে কি? সেখানে সূদ সহ টাকা জমা হয়। এক্ষণে এর যাকাত দিবে কিভাবে?

উত্তর : প্রভিডেন্ড ফান্ডে জমাকৃত টাকা নিজের পূর্ণ অধিকারে থাকলে অর্থাৎ যেকোন সময়ে উঠানো সম্ভব হ
লে সূদের টাকা ব্যতীত বাকী টাকার যাকাত দিতে হবে। কারণ যাকাত দেয়ার জন্য নিছাব পরিমাণ সম্পদের পূর্ণ মালিক হওয়া যরূরী।

ছিয়াম রাখার পরিবর্তে যে ফিদইয়া দেয়া হয়,


প্রশ্ন  : ছিয়াম রাখার পরিবর্তে যে ফিদইয়া দেয়া হয়, তার পরিমাণ কতটুকু এবং কোথায় দিতে হবে?

উত্তর : ফিদইয়ার পরিমাণ অর্ধ ছা
। এই ফিদইয়া ফক্বীর-মিসকীনকে দিতে হবে (বুখারী হা/৪৫১৭ তাফসীর অধ্যায় ৩২ অনুচ্ছেদ, বাক্বারাহ ১৯৬)

মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০১১

মাযহাব কী? কখন থেকে মাযহাব চালু হয়েছে?


প্রশ্ন : মাযহাব কী? কখন থেকে মাযহাব চালু হয়েছে? পৃথিবীর সব দেশেই কি মাযহাব আছে?

উত্তর :
মাযহাব শব্দের আভিধানিক অর্থ চলার পথ। পারিভাষিক অর্থ মতবাদ, মতাদর্শ ইত্যাদি। চারজন প্রসিদ্ধ মুজতাহিদ ইমামের ফিক্বহী মতামতকে ইসলামী পরিভাষায় মাযহাব বলা হয়। উক্ত চার ইমামের মৃত্যুর বহু পরে রাজনৈতিক দলাদলির সুবাদে বিভিন্ন মাযহাবের সূত্রপাত হয় এবং মুসলিমগণ নানা দলে ভিন্ন ভিন্ন নামে বিভক্ত হয়ে যায়। মানুষ স্ব স্ব মাযহাবের অন্ধ মুক্বাল্লিদ হয়ে পড়ে এবং ছহীহ হাদীছের নিরপেক্ষ অনুসরণ থেকে অধিকাংশই দূরে চলে যায়। অথচ উক্ত চার ইমামের প্রত্যেকেই বলে গেছেন, যখন তোমরা ছহীহ হাদীছ পাবে, মনে রেখ সেটাই আমাদের মাযহাব (শারানী কিতাবুল মীযান (দিল্লী ছাপা) ১/৭৩)। শাহ অলিউল্লাহ দেহলভী বলেন, ৪র্থ শতাব্দী হিজরীর পূর্বে মুসলমানগণ নির্দিষ্ট কোন একটি মাযহাবের মুক্বাল্লিদ ছিল না (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগ মিসরী ছাপা ১/১১৮)।

সূরা বাক্বারায় এমন একটি আয়াত আছে যা লিখে ঘুমন্ত স্ত্রীর বুকের উপর দিলে


প্রশ্ন  : জনৈক বক্তা বলেন, সূরা বাক্বারায় এমন একটি আয়াত আছে যা লিখে ঘুমন্ত স্ত্রীর বুকের উপর দিলে তার জীবনের অপসন্দ কর্মগুলো সব বলে দিবে। আয়াতটি কত নম্বর?

উত্তর : উক্ত বক্তব্য সঠিক নয়। এমন মর্মের কোন আয়াত সূরা বাক্বারায় বা কুরআনের কোথাও নেই।

মি‘রাজে যাওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)


প্রশ্ন  : মিরাজে যাওয়ার সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে নবীগণের দেখা হয়েছিল। এ দেখা হওয়া কেমন? তাঁরা কি স্ব স্ব স্থানে জীবিত?

উত্তর : নবীগণের আত্মগুলোকেই স্ব স্ব আকৃতিতে দেখানো হয়েছে (মিরক্বাত ১১/১৪৩ পৃঃ,
মিরাজ অনুচ্ছেদ ১ম হাদীছের ব্যাখ্যা)