সোমবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১১

যথাযথ পর্দা বলতে কি বুঝায়?


প্রশ্ন  : যথাযথ পর্দা বলতে কি বুঝায়? স্ত্রীকে কিভাবে পর্দায় রাখলে স্বামী জান্নাতের আশা করতে পারে?

উত্তর : পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছে যেভাবে পর্দা করার কথা বলা হয়েছে, সেভাবে পর্দা করাই হচ্ছে যথার্থ পর্দা। আল্লাহ বলেন, ‘ঈমানদার নারীদের বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান তা ব্যতীত তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষদেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুষ্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক, অধিকারভুক্ত বাঁদি, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে। তারা যেন এমনভাবে পদচারণা না করে যাতে তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ পায়
(নূর ৩১)

অনুরূপভাবে তাদেরকে নিজেদের ঘরে অবস্থান করতে হবে। অন্য লোকদের সাথে কথা বলার সময় নরম সুরে কথা বলা যাবে না (আহযাব ৩২-৩৩)। প্রয়োজনে বাড়ীর বাইরে যেতে হ’লে গায়ে বড় চাদর ঝুলিয়ে (বোরকা পরে) পুরা শরীর ঢেকে যেতে হবে (আহযাব ৫৯)। কারো কাছে কিছু চাইতে হ’লে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে (আহযাব ৫৩)। উপরোক্ত নিয়মে স্বামী স্বীয় স্ত্রীকে পর্দায় রাখলে তিনি জান্নাত লাভের আশা করতে পারেন।

শয়নকালে আয়াতুল কুরসী পাঠ করলে চুরি-ডাকাতি হ’তে নিরাপদ থাকা যায়।


প্রশ্ন  : শয়নকালে আয়াতুল কুরসী পাঠ করলে চুরি-ডাকাতি হ’তে নিরাপদ থাকা যায়। একথা কি ঠিক?

উত্তর : শয্যা গ্রহণকালে ‘আয়াতুল কুরসী’ পাঠ করলে শয়তানের কবল থেকে নিরাপদ থাকা যায়। রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘বিছানায় শয়নকালে ‘আয়াতুল কুরসী’ পাঠ করলে আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রক্ষক নিযুক্ত হয়। ফলে সকাল পর্যন্ত শয়তান ঐ ব্যক্তির নিকটবর্তী হ’তে পারে না
(বুখারী, মিশকাত হা/২১২৩ ‘ফাযায়েলুল কুরআন’ অধ্যায়)

পবিত্র কুরআন মুখস্থ রাখার বিনিময়ে একজন হাফেয


প্রশ্ন  : পবিত্র কুরআন মুখস্থ রাখার বিনিময়ে একজন হাফেয পরকালে কি পুরস্কার লাভ করবেন?

উত্তর : পবিত্র কুরআন মুখস্থকারী হাফেযগণ পরকালে উচ্চ মর্যাদার অধিকারী হবেন। আব্দুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) হ’তে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘ক্বিয়ামতের দিন কুরআনের হাফেযকে বলা হবে কুরআন তেলাওয়াত করতে থাক এবং জান্নাতের উপরের দিকে আরোহন করতে থাক। অক্ষর ও শব্দ স্পষ্ট করে তেলাওয়াত করতে থাক, যেভাবে দুনিয়াতে তেলাওয়াত করতে। তোমার তেলাওয়াতের সর্বশেষ স্তর হবে তোমার বসবাসের সর্বোচ্চ স্থান
(আহমাদ, তিরমিযী, আবু দাঊদ, নাসাঈ, সনদ ছহীহ, মিশকাত হা/২১৩৪)

অনেকে বলেন, এই মর্যাদা সকল কুরআন পাঠকারীর জন্য। আসলে তা সঠিক নয়। শায়খ আলবানী বলেন, এর দ্বারা উদ্দেশ্য হ’ল কুরআনের হাফেয। এই মর্যাদার স্তর হ’ল- জান্নাতের স্তর। কুরআন তেলাওয়াতকারী সাধারণের জন্য এই মর্যাদা নয় যেমন কেউ কেউ ধারণা করেন। বরং এর মধ্যে কুরআনের হাফেযের জন্য স্পষ্ট মর্যাদা রয়েছে, যে শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই হেফয করে (সিলসিলা ছহীহাহ হা/২২৪০-এর আলোচনা দ্রঃ)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, নিশ্চয়ই মানুষের মধ্যে দুই শ্রেণীর মানুষ আল্লাহর পরিবার হবেন। একজন হ’লেন কুরআনের অধিকারী ও অন্যজন হ’লেন তার খাছ বন্ধুবর্গ (ইবনু মাজাহ হা/২১৫, সনদ ছহীহ)

প্রচলিত চিল্লা প্রথা কি হাদীছ সম্মত?


প্রশ্ন  : প্রচলিত চিল্লা প্রথা কি হাদীছ সম্মত?

উত্তর : চিল্লা প্রথার প্রমাণে কোন হাদীছ নেই। এগুলি কপোলকল্পিত পদ্ধতি। এর ভিত্তি হচ্ছে মাওলানা ইলিয়াসের স্বপ্নের উপর। যেমন তিনি বলেন, এই তাবলীগের নিয়ম আমার নিকটে স্বপ্নে প্রকাশিত হয় (আব্দুর রহমান উমরী, তাবলীগী জামা‘আত (নয়াদিল্লী : দারুল কিতাব, ১৯৮৮, পৃঃ ১৩)। ১ চিল্লা, ৩ চিল্লা, বছর চিল্লার জন্য কোটি কোটি গুণ ছওয়াব ও মিথ্যা ফাযায়েলের কথা বলে মানুষকে ঘর থেকে বের করে নেওয়া হয়। তাকে পারিবারিক ও সামাজিক দায়িত্ব থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়, যা একেবারেই অন্যায়। সুতরাং সংসারধর্ম ত্যাগ করে এসব চিল্লা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

গীবতের কাফফারা কি


প্রশ্ন  : গীবতের কাফফারা কি এবং এর পাপ থেকে মুক্তির উপায় কি?

উত্তর : গীবতের কাফফারা হচ্ছে যার গীবত করা হয়েছে তার নিকটে ক্ষমা চাওয়া। যেমন আবুবকর ও ওমর (রাঃ) তাঁদের খাদেমের গীবত করলে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ঐ খাদেমের নিকট ক্ষমা চাইতে বলেন (আমসিক আলায়কা লিসানাকা, পৃঃ ৪৩)। তবে সরাসরি ক্ষমা চাইতে গেলে যদি ফিৎনার সৃষ্টি হয়, তাহ’লে তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। আর তার কুৎসা রটনার পরিবর্তে তার প্রশংসা করতে হবে (ঐ, পৃঃ ৫৭)

শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১১

আমার একমাত্র মেয়েকে মৃত্যুর আগে বাড়ি ও সম্পত্তি লিখে দিতে পারি কি?


প্রশ্নঃ  : আমার একমাত্র মেয়েকে মৃত্যুর আগে বাড়ি ও সম্পত্তি লিখে দিতে পারি কি?

উত্তর : মৃত্যুর পূর্বে কোন সম্পত্তি লিখে দেওয়া শরী‘আত সম্মত নয়। কারণ তার মৃত্যুর পূর্বে মেয়ের মৃত্যু হ’তে পারে। তখন শরী‘আতের দৃষ্টিতে সে বা তার ছেলে মেয়ে উক্ত সম্পত্তির অধিকারী হবে না। এক্ষেত্রে সে শরী‘আতের হুকুম লংঘন করল।