প্রশ্ন
: বঙ্গানুবাদ বুখারীর ভূমিকায় উল্লেখ
করা হয়েছে যে, ইমাম বুখারী (রহঃ) বুখারীতে হাদীছ উল্লেখ করার পূর্বে দীর্ঘ ১৬ বছর
মহানবী (ছাঃ)-এর পবিত্র রওযার পাশে বসে প্রতিটি হাদীছ মোরাকাবার
মাধ্যমে নবী (ছাঃ)-এর সম্মতি লাভ করেছেন। উক্ত ঘটনার সত্যতা সম্পর্কে জানতে চাই।
মোরাকাবা কী?
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর সম্মতি লাভ করা কথাটি সঠিক নয়। অনুরূপ ‘রাসূল (ছাঃ)-এর পবিত্র রওযা’ একথা বলা মারাত্মক অন্যায়। কারণ রাসূল (ছাঃ)-এর মিম্বার এবং তাঁর বাড়ির মাঝের স্থানকে ‘জান্নাতের রওযা’ বলা হয়েছে (বুখারী হা/১১৯৫; মিশকাত হা/৬৯৪)।
প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়ে উত্তর এই যে, ইমান বুখারী বলেন, আমি আমার এই কিতাব মসজিদুল হারামে বসে রচনা করেছি এবং আমি সেখানে কোন হাদীছ প্রবেশ করাইনি যতক্ষণ না আমি ইস্তিখারাহর দু’রাক‘আত নফল ছালাত আদায় করেছি এবং হাদীছটি বিশুদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চয়তা লাভ করেছি। ভাষ্যকার ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেন, এর অর্থ এই হ’তে পারে যে, তিনি প্রথমে দেশে বসে এটি সংকলন করেন। অতঃপর এটির রচনা ও অনুচ্ছেদ সমূহ বিন্যস্ত করেন মাসজিদুল হারামে বসে। এরপরে তিনি হাদীছ সমূহের তাখরীজ বা বিশুদ্ধতা যাচাই করেছেন নিজের দেশে বা অন্যত্র গিয়ে। যেটা তাঁর কথায় বুঝা যায় যে, তিনি সেখানে ১৬ বছর অবস্থান করেছিলেন। কেননা তিনি এই দীর্ঘ সময়ের পুরাটা মক্কায় কাটাননি’। ইবনু ‘আদী একদল বিদ্বান থেকে বর্ণনা করেন যে, ইমাম বুখারী তাঁর কিতাবের ‘শিরোনাম সমূহ’ (تراجم) নির্ধারণ করেছিলেন রাসূল (ছাঃ)-এর কবর ও মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানে বসে। এ সময় তিনি প্রতিটি শিরোনামের জন্য দু’রাক‘আত করে ছালাত আদায় করেন। ভাষ্যকার ইবনু হাজার বলেন, পূর্বের সাথে এটির কোন বৈপরীত্য নেই। কেননা হ’তে পারে তিনি প্রথমে এগুলির খসড়া প্রস্তুত করেছিলেন। অতঃপর এখানে বসে চূড়ান্ত করেন (ফাৎহুল বারীর ‘ভূমিকা’ খন্ড (কায়রো : দারুর রাইয়ান ২য় সংস্করণ ১৪০৭/১৯৮৭) ৫১৩-১৪ পৃঃ)।
উত্তর : রাসূল (ছাঃ)-এর সম্মতি লাভ করা কথাটি সঠিক নয়। অনুরূপ ‘রাসূল (ছাঃ)-এর পবিত্র রওযা’ একথা বলা মারাত্মক অন্যায়। কারণ রাসূল (ছাঃ)-এর মিম্বার এবং তাঁর বাড়ির মাঝের স্থানকে ‘জান্নাতের রওযা’ বলা হয়েছে (বুখারী হা/১১৯৫; মিশকাত হা/৬৯৪)।
প্রশ্নে উল্লেখিত বিষয়ে উত্তর এই যে, ইমান বুখারী বলেন, আমি আমার এই কিতাব মসজিদুল হারামে বসে রচনা করেছি এবং আমি সেখানে কোন হাদীছ প্রবেশ করাইনি যতক্ষণ না আমি ইস্তিখারাহর দু’রাক‘আত নফল ছালাত আদায় করেছি এবং হাদীছটি বিশুদ্ধ হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চয়তা লাভ করেছি। ভাষ্যকার ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেন, এর অর্থ এই হ’তে পারে যে, তিনি প্রথমে দেশে বসে এটি সংকলন করেন। অতঃপর এটির রচনা ও অনুচ্ছেদ সমূহ বিন্যস্ত করেন মাসজিদুল হারামে বসে। এরপরে তিনি হাদীছ সমূহের তাখরীজ বা বিশুদ্ধতা যাচাই করেছেন নিজের দেশে বা অন্যত্র গিয়ে। যেটা তাঁর কথায় বুঝা যায় যে, তিনি সেখানে ১৬ বছর অবস্থান করেছিলেন। কেননা তিনি এই দীর্ঘ সময়ের পুরাটা মক্কায় কাটাননি’। ইবনু ‘আদী একদল বিদ্বান থেকে বর্ণনা করেন যে, ইমাম বুখারী তাঁর কিতাবের ‘শিরোনাম সমূহ’ (تراجم) নির্ধারণ করেছিলেন রাসূল (ছাঃ)-এর কবর ও মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানে বসে। এ সময় তিনি প্রতিটি শিরোনামের জন্য দু’রাক‘আত করে ছালাত আদায় করেন। ভাষ্যকার ইবনু হাজার বলেন, পূর্বের সাথে এটির কোন বৈপরীত্য নেই। কেননা হ’তে পারে তিনি প্রথমে এগুলির খসড়া প্রস্তুত করেছিলেন। অতঃপর এখানে বসে চূড়ান্ত করেন (ফাৎহুল বারীর ‘ভূমিকা’ খন্ড (কায়রো : দারুর রাইয়ান ২য় সংস্করণ ১৪০৭/১৯৮৭) ৫১৩-১৪ পৃঃ)।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন