প্রশ্ন : সমাজে প্রচলিত আছে ‘জমি
বিক্রি করে ব্যবসা করলে নাকি তাতে বরকত হয় না। এর সত্যতা কি? অনুরূপ ‘তোমরা
ভূ-সম্পত্তির প্রতি আকৃষ্ট হয়ো না, তা তোমাদেরকে দুনিয়ামুখী করে তুলবে’ এ
কথাকি ঠিক?
উত্তর : প্রথমটি ভ্রান্ত বিশ্বাস মাত্র। মানুষ তার জ্ঞান-বুদ্ধি খাটিয়ে, আল্লাহর উপর ভরসা করে বৈধভাবে উপার্জন করলে ইনশাআল্লাহ তাতেই আল্লাহ বরকত দিবেন। তা জমি বিক্রি করে হোক বা অন্য কোন বৈধ পন্থায় হোক।
দ্বিতীয় কথাটি মূলতঃ হাদীছ لاَ تَتَّخِذُوا الضَّيْعَةَ فَتَرْغَبُوا فِى الدُّنْيَا ‘তোমরা ভূ-সম্পত্তি অর্জনে মগ্ন হয়ো না। কেননা তা তোমাদেরকে দুনিয়ার পিছনে লিপ্ত করে ফেলবে (তিরমিযী হা/২৩২৮; ঐ, মিশকাত হা/৫১৭৮ ‘রিক্বাক্ব’ অধ্যায়)। এখানে الضيعة অর্থ ভূ-সম্পত্তি, বাগ-বাগিচা, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুকেই বুঝানো হয়েছে, যা মানুষকে আল্লাহর ইবাদত ও পরকালের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় (মিরক্বাত, তুহফা)। জান্নাতী মুমিনদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হিসাবে আল্লাহ বলেন, তারা হ’ল ঐসব মানুষ, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ হতে এবং ছালাত কায়েম ও যাকাত প্রদান হ’তে গাফেল করতে পারে না। তারা ভয় করে সেদিনকে, যেদিন তাদের অন্তর ও দৃষ্টি সমূহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে’ (নূর ২৪/৩৭)। অন্যত্র আল্লাহ বলেন, ছালাত শেষ হবার পরেই তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সমূহ সন্ধান কর’... (জুম‘আহ ৬২/১০)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা সুন্দরভাবে সৎকর্ম সম্পাদন কর এবং আল্লাহর নৈকট্য অনুসন্ধান কর। কেননা জান্নাতী ব্যক্তি জান্নাতী আমলের উপরেই মৃত্যুবরণ করবে, ইতিপূর্বে যে কাজই সে করুক না কেন..’ (তিরমিযী হা/২১৪১; ঐ, মিশকাত হা/৯৬)।
উপরোক্ত বর্ণনাসমূহের আলোকে একথা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, দুনিয়াকে নিজের গোলাম বানাতে হবে, নিজেকে দুনিয়ার গোলাম বানানো যাবে না। আখেরাতের জন্যই দুনিয়া করতে হবে, দুনিয়ার জন্য আখেরাত বিক্রি করা যাবে না।
উত্তর : প্রথমটি ভ্রান্ত বিশ্বাস মাত্র। মানুষ তার জ্ঞান-বুদ্ধি খাটিয়ে, আল্লাহর উপর ভরসা করে বৈধভাবে উপার্জন করলে ইনশাআল্লাহ তাতেই আল্লাহ বরকত দিবেন। তা জমি বিক্রি করে হোক বা অন্য কোন বৈধ পন্থায় হোক।
দ্বিতীয় কথাটি মূলতঃ হাদীছ لاَ تَتَّخِذُوا الضَّيْعَةَ فَتَرْغَبُوا فِى الدُّنْيَا ‘তোমরা ভূ-সম্পত্তি অর্জনে মগ্ন হয়ো না। কেননা তা তোমাদেরকে দুনিয়ার পিছনে লিপ্ত করে ফেলবে (তিরমিযী হা/২৩২৮; ঐ, মিশকাত হা/৫১৭৮ ‘রিক্বাক্ব’ অধ্যায়)। এখানে الضيعة অর্থ ভূ-সম্পত্তি, বাগ-বাগিচা, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুকেই বুঝানো হয়েছে, যা মানুষকে আল্লাহর ইবাদত ও পরকালের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় (মিরক্বাত, তুহফা)। জান্নাতী মুমিনদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য হিসাবে আল্লাহ বলেন, তারা হ’ল ঐসব মানুষ, যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক্রয়-বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ হতে এবং ছালাত কায়েম ও যাকাত প্রদান হ’তে গাফেল করতে পারে না। তারা ভয় করে সেদিনকে, যেদিন তাদের অন্তর ও দৃষ্টি সমূহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে’ (নূর ২৪/৩৭)। অন্যত্র আল্লাহ বলেন, ছালাত শেষ হবার পরেই তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড় এবং আল্লাহর অনুগ্রহ সমূহ সন্ধান কর’... (জুম‘আহ ৬২/১০)। রাসূল (ছাঃ) বলেন, তোমরা সুন্দরভাবে সৎকর্ম সম্পাদন কর এবং আল্লাহর নৈকট্য অনুসন্ধান কর। কেননা জান্নাতী ব্যক্তি জান্নাতী আমলের উপরেই মৃত্যুবরণ করবে, ইতিপূর্বে যে কাজই সে করুক না কেন..’ (তিরমিযী হা/২১৪১; ঐ, মিশকাত হা/৯৬)।
উপরোক্ত বর্ণনাসমূহের আলোকে একথা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, দুনিয়াকে নিজের গোলাম বানাতে হবে, নিজেকে দুনিয়ার গোলাম বানানো যাবে না। আখেরাতের জন্যই দুনিয়া করতে হবে, দুনিয়ার জন্য আখেরাত বিক্রি করা যাবে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন