সোমবার, ৭ নভেম্বর, ২০১১

হজ্জ বা ওমরা করতে গিয়ে এক ব্যক্তি একাধিক ওমরা

প্রশ্ন  : হজ্জ বা ওমরা করতে গিয়ে এক ব্যক্তি একাধিক ওমরা করতে পারবে কি? যেমন ওমরা করে মদীনায় গেল। ফিরে এসে আবার ওমরা করল এমনটি করতে পারবে কি? কিংবা একই ব্যক্তি বিভিন্ন ব্যক্তির নামে ওমরা ও ত্বওয়াফ করতে পারে কি?

উত্তর : এ বিষয়ে সঊদী আরবের সাবেক প্রধান মুফতী শায়খ আব্দুল আযীয বিন বায (রহঃ) বলেন,
কিছু সংখ্যক লোক হজ্জের পর অধিক সংখ্যক উমরাহ করার আগ্রহে তানঈম বা জিইর্রানাহ নামক স্থানে গিয়ে ইহরাম বেঁধে আসেন। শরীআতে এর কোনই প্রমাণ নেই (দলীলুল হাজ্জ ওয়াল মুতামির, অনু: আব্দুল মতীন সালাফী, সংক্ষিপ্ত নির্দেশাবলী অনুচ্ছেদ,  মাসআলা-২৪, পৃঃ ৬৫)। সঊদী আরবের সাবেক ২য় মুফতী শায়খ ছালেহ আল-উছায়মীন (রহঃ) বলেন, এটি জায়েয নয়। বরং বিদআত। কেননা এর পক্ষে একমাত্র দলীল হল বিদায় হজ্জের সময় আয়েশা (রাঃ)-এর ওমরাহ। অথচ ঋতু এসে যাওয়ায় প্রথমে হজ্জে ক্বিরান-এর ওমরাহ করতে ব্যর্থ হওয়ায় হজ্জের পরে তিনি এটা করেছিলেন। তার সাথে তানঈম গিয়েছিলেন তার ভাই আব্দুর রহমান। কিন্তু সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি পুনরায় ওমরাহ করেননি। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথী অন্য কোন ছাহাবীও এটা করেননি (ঐ, মাজমূ ফাতাওয়া, প্রশ্নোত্তর সংখ্যা ১৫৯৩; ঐ, লিক্বা-উল বাব আল-মাফতূহ, অনুচ্ছেদ ১২১, মাসআলা ২৮)। শায়খ আলবানীও একে নাজায়েয বলেছেন এবং একে ঋতুবতীর ওমরাহ (عمرة الحائض) বলেছেন (ছহীহাহ হা/১৯৮৪-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য)। হাফেয ইবনুল ক্বাইয়িমও একে নাজায়েয বলেছেন (যাদুল মাআদ ২/৮৯)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন