সোমবার, ৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বা আহত হওয়ার পর

প্রশ্ন  : সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত বা আহত হওয়ার পর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রকৃত কারণ চিহ্নিত না করেই পরিবহনের মালিকের নিকট থেকে ক্ষতিপূরণ নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে শরীআতের দৃষ্টিভঙ্গি কী?

উত্তর : মানুষ নিহত হওয়ার কারণ ৩টি- ভুলক্রমে, ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করা ও ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করার ন্যায় হত্যা করা। গাড়ী দুর্ঘটনায় মানুষ মারা গেলে উক্ত ৩টি কারণের যেকোন একটির মধ্যে পড়ে যায়। প্রথম ও তৃতীয় কারণে হত্যাকান্ড সংঘটিত হলে ১০০টি উট বা তার সমপরিমাণ মূল্যের রক্তপণ দিতে হবে। আর দ্বিতীয় কারণে নিহত হলে তার শাস্তি হল- মৃত্যুদন্ড। তবে যদি নিহত ব্যক্তির ওয়ারিছগণ ক্ষমা করে দিয়ে রক্তপণ নিতে চায়, তাহলে তা করা যাবে (বাক্বারাহ ১৭৮; দারাকুৎনী, বুলূগুল মারাম হা/১১৭৭, ১১৭৮)
আহত ব্যক্তির ক্ষতিপূরণ হল: সম্পূর্ণ নাক, চোখ, জিহবা, ঠোঁট কাটা গেলে, মেরুদন্ড ভেঙ্গে গেলে বা অন্য কোন অঙ্গ কেটে গেলে ১০০ টি উট ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়া সাধারণ ক্ষতি হলে প্রতি ক্ষতির বিনিময়ে ১০টি করে উট দিতে হবে। একটি দাঁতের জন্য পাঁচটি উট দিতে হবে (নাসাঈ হা/৪৮৫৩; মিশকাত হা/৩৪৯২; বুলূগুল মারাম হা/১১৭৫, সনদ ছহীহ)। প্রকৃত কারণ চিহ্নিত করার দায়িত্ব আদালতের কিংবা যথাযথ কর্তৃপক্ষের। তারা সেটা নির্ধারণ করার পরই ক্ষতিপূরণ নেওয়া হবে। নইলে সেটা যুলুম হবে। আর যুলুম করা ইসলামে নিষিদ্ধ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন