সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১১

কী কী কারণে কাবীরা গোনাহ হয়।


প্রশ্ন  : কী কী কারণে কাবীরা গোনাহ হয়।

উত্তর : কবীরা গোনাহ অর্থ মহা পাপ। (১) যার শীর্ষে রয়েছে আল্লাহর সাথে শিরক করা (২) এরপরে ঐসব গোনাহ যার শাস্তি কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা নির্ধারিত। যেমন হত্যা, চুরি, ব্যভিচার, জুয়া, লটারী, মদ্যপান, মিথ্যা সাক্ষ্য দান ইত্যাদি (৩) যেসব পাপের জন্য আল্লাহ ও রাসূল (ছাঃ) অভিসম্পাৎ করেছেন। যেমন ঘুষ খাওয়া ও দেওয়া, হিল্লা বিয়ে করা (৪) যেসব পাপ মানুষকে অধিকতর বড় পাপে প্ররোচিত করে। যেমন নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা, সব ধরনের নির্লজ্জতা ও বেহায়াপনা, মিথ্যা শপথ করা ইত্যাদি (৫) ছগীরা গোনাহ বারবার করা। যেমন কথায় কথায় আল্লাহর নামে মিথ্যা কসম খাওয়া, দাড়ি শেভ করা ইত্যাদি। কুরআন-সুন্নাহর দৃষ্টিতে কাবীরাহ গোনাহের সংখ্যা ৭ থেকে ৭০০-এর কাছাকাছি। অনুতপ্ত হয়ে তওবা করা ব্যতীত যা মাফ হয় না। নিম্নে বিশেষ কয়েকটি উল্লেখ করা হ’ল :
(১) শিরক করা (২) কবরে সিজদা করা (৩) বিদ
আত করা (৪) গনক এবং জ্যোতিষীর কথা বিশ্বাস করা (৫) আল্লাহ ছাড়া অন্যের নামে যবেহ ও মানত করা (৬) পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া (৭) তাক্বদীরকে অবিশ্বাস করা (৮) ছালাত ও যাকাত পরিত্যাগ করা (৯) অকারণে রামাযানের ছিয়াম পালন না করা (১০) সামর্থ্যবান ব্যক্তির হজ্জ না করা (১১) যুলুম করা (১২) হত্যা করা (১৩) আত্মহত্যা করা (১৪) চুরি করা (১৫) ডাকাতি করা (১৬) জাদু করা (১৭) ইয়াতীমের মাল আত্মসাৎ করা (১৮) প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া (১৯) ওযনে কম দেওয়া (২০) হারাম খাওয়া (২১) খিয়ানত করা (২২) হালালা করা (২৩) বেপর্দা চলা (২৪) যেনা করা (২৫) যিনার অপবাদ দেয়া (২৬) নারীতে-নারীতে ও পুরুষে পুরুষে ব্যভিচার করা (২৭) স্ত্রীর পায়খানার রাস্তায় সঙ্গম করা (২৮) মাসিক অবস্থায় সহবাস করা (২৯) মহিলা পুরুষের বেশ ও পুরুষ মহিলার বেশ ধারণ করা (৩০) পুরুষের রেশমী কাপড় এবং স্বর্ণালংকার পরা (৩১) মদ্য পান করা (৩২) জুয়া খেলা (৩৩) সূদ গ্রহণ, প্রদান এবং তা লেখা ও তার জন্য সাক্ষী হওয়া (৩৪) ঘুষ গ্রহণ ও প্রদান করা (৩৫) মিথ্যা কথা বলা ও মিথ্যা কসম খাওয়া (৩৬) অঙ্গিকার ভঙ্গ করা (৩৭) অহংকার করা (৩৮) পুরুষের কাপড় পায়ের গিটের নিচে পরিধান করা (৩৯) অত্মীয়তা ছিন্ন করা (৪০) শরীয়তের খেলাফ কাজ করা (৪১) রিয়া বা লোকদেখানো আমল করা (৪২) গীবত করা (৪৩) তোহমত দেওয়া (৪৪) অভিশাপ দেয়া (৪৫) দুনিয়ার উদ্দেশ্যে দ্বীন শিক্ষা করা (৪৬) দুনিয়ার লোভে দ্বীন বিক্রি করা (৪৭) বিপদাপদে বা কারো মৃত্যুতে মাথায় ও বুকে আঘাত করা ও চিৎকার করে কাঁদা (৪৮) পেশাব থেকে বেঁচে না থাকা (৪৯) যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করা (ইমাম শামসুদ্দীন যাহাবী প্রণীত আল-কাবায়ের গ্রন্থ অবলম্বনে)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন