মঙ্গলবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১১

পবিত্র কুরআনে দাস প্রথা


প্রশ্ন : পবিত্র কুরআনে দাস প্রথা নিষিদ্ধ করা না হ’লেও বিদায় হজ্জের দিন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তা রহিত করেছেন। শরী‘আতে এরূপ আর কী কী বিধান আছে যা কুরআনে নিষিদ্ধ করা হয়নি কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) তা নিষিদ্ধ করেছেন?

উত্তরঃ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দাস প্রথাকে রহিত করেননি। বরং তিনি দাস-দাসীদেরকে মুক্ত করে দেয়ার জন্য উৎসাহিত করেছেন। অমুসলিমদের সাথে জিহাদ সংঘটিত হ’লে এখনও দাস-দাসী সৃষ্টি হ’তে পারে। জানা আবশ্যক যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ফায়ছালাকে কেউ মেনে নিতে দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগলে সে মুমিন হ’তে পারবে না (নিসা ৬৫; আহযাব ৩৬)। ইসলামে অনেক বিষয় রয়েছে যেগুলো কুরআনে নিষিদ্ধ করা হয়নি। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) নিষিদ্ধ করেছেন। যেমন গৃহ পালিত গাধার গোশ্ত খাওয়া, হিংস্র প্রাণীর গোশ্ত খাওয়া, কবরের উপর ঘর নির্মাণ করা, চুনকাম করা, সেখানে বসা ও লিখা, যেনার মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ, গণকের উপার্জিত অর্থ, ফসল পরিপক্ক হওয়ার পূর্বে বিক্রয় করা, যুদ্ধের সময় কাফের শিশু ও নারীদেরকে হত্যা করা ইত্যাদি। কুরআনে না থাকলেও এগুলো আল্লাহর ‘অহি’ মোতাবেক তিনি নিষিদ্ধ করেছেন (নাজ্ম ৩-৪)। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন