রবিবার, ১৭ জুলাই, ২০১১

সঊদী আরবের ‘ওয়াদিয়ে হানীফ’


প্রশ্ন  : সঊদী আরবের ওয়াদিয়ে হানীফ নামক নালা দিয়ে পেশাব-পায়খানা ও বর্জ্য পানি বের হয়ে যায়। এসব পানি দেখতে স্বচ্ছ হলেও দুর্গন্ধযুক্ত। মরুভূমির ভিতর দিয়ে প্রবাহিত এ নালা কোথাও লেকের আকার ধারণ করেছে। এতে বিভিন্ন প্রজাতির মাছের জন্ম হয়। এসব মাছ খাওয়া বৈধ হবে কি?

উত্তর : রং, স্বাদ ও গন্ধ বিনষ্ট হ
লে সে পানি নাপাক। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) জাল্লালাহ অর্থাৎ ময়লা-আবর্জনা ভক্ষণকারী প্রাণীর গোশত খেতে ও তার দুধ পান করতে এবং তার পিঠে আরোহন করতে নিষেধ করেছেন (আবুদাঊদ হা/৩৭৮৬; তিরমিযী হা/১৮২৫; নাসাঈ হা/৪৪৬০)। অন্য বর্ণনায় এসেছে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) গৃহপালিত গাধার গোশত খেতে এবং ময়লা-আবর্জনা ভক্ষণকারী প্রাণীর পিঠে চড়তে এবং তার গোশত খেতে নিষেধ করেছেন (আবুদাঊদ হা/৩৮১১; নাসাঈ হা/৪৪৫৯)। ঐসব নাপাক খাদ্য ভক্ষণকারী হালাল প্রাণী, যেমন মুরগী, মাছ ইত্যাদিকে উক্ত ময়লা খাদ্য ও পানীয় থেকে কিছু দিন আটকে রেখে পবিত্র খাদ্য ও পানীয় খাওয়ানোর পর তার গন্ধ দূরীভূত হলে ও গোশত রুচিকর হয়েছে বলে নিশ্চিত হলে তা খাওয়া যাবে। ইবনু ওমর (রাঃ) ময়লা ভক্ষণকারী মুরগী তিনদিন আটকে রেখে তারপর যবহ করে খেতেন (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ, ইরওয়া হা/২৫০৫)। অতএব উক্ত লেক-এর মাছ ধরে কিছুদিন পবিত্র পানিতে রেখে দুর্গন্ধ দূরীভূত হলে তা খাওয়া বৈধ হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন