মঙ্গলবার, ২১ জুন, ২০১১

আমি পিতা-মাতাকে না জানিয়ে বিয়ে করেছি। বিয়েতে কোন ওয়ালী ছিল না।


প্রশ্ন : আমি একজন উচ্চ শিক্ষিতা মেয়ে। আমি পিতা-মাতাকে না জানিয়ে বিয়ে করেছি। বিয়েতে কোন ওয়ালী ছিল না। ১ জন ছেলে ও ১ জন মেয়ে সাক্ষী হিসাবে ছিল। দেনমোহর ১ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আমার পরিবার আমার বিয়ে মেনে নেয়নি। তারা আমাকে ডিভোর্স লেটারে সাইন করিয়েছে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে। আমার স্বামী ধার্মিক এবং গোপনে বিয়ের জন্য আমরা খুবই লজ্জিত ও আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। ইতিমধ্যে ২টা ডিভোর্স লেটার পাঠানো হয়েছে। জুন মাসে শেষ পত্রটি যাবে। এক্ষণে স্বামীর কাছে প্রত্যাবর্তনের জন্য আমার করণীয় কি?

উত্তর: উভয় পক্ষের ওয়ালী এবং দু
জন মুমিন ন্যায়নিষ্ঠ বয়স্ক পুরুষ সাক্ষী না থাকায় বিবাহ সিদ্ধ হয়নি। এজন্য আপনারা উভয়ে ব্যভিচারের দায়ে অভিযুক্ত। অপরপক্ষে আপনার অভিভাবক আপনার মতের বিরুদ্ধে চাপ দেওয়ায় তারাও অন্যায় করেছেন। অতএব বিয়েই যেখানে হয়নি, সেখানে ডিভোর্স লেটারের কোন মূল্য নেই। এক্ষণে খালেছ অন্তরে তওবা ব্যতীত আপনাদের গোনাহ মাফ হবে না। অপর পক্ষে আপনার অভিভাবকের কর্তব্য হবে নিজেদের যিদ ও অহংকার ত্যাগ করে মেয়ের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে তার বিবাহের ব্যবস্থা করা এবং মেয়ের ভবিষ্যৎ কল্যাণের জন্য মহান আল্লাহর নিকটে প্রাণ খুলে দোআ করা। কেননা তিনিই মানুষের ভাল-মন্দের একমাত্র মালিক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন