সোমবার, ২৭ জুন, ২০১১

আমি তাহাজ্জুদ ছালাত আদায় করার চেষ্টা করি।


প্রশ্ন  : আমি তাহাজ্জুদ ছালাত আদায় করার চেষ্টা করি। অনেক সময় জাগতে না পারায় ছুটে যায়।  এমতাবস্থায় কিভাবে বিতর পড়তে হবে?

উত্তর : তাহাজ্জুদ ছালাত ছুটে গেলে দিনে পড়ে নেয়া ভাল। আয়েশা (রাঃ) বলেন, যে কোন কারণে রাতে ছালাত ছুটে গেলে, নবী করীম (ছাঃ) দিনে ১২ রাক
আত ছালাত আদায় করতেন (মুসলিম হা/১৭৩৯, ৪৩ মুসাফিরের ছালাত অধ্যায়)। তাহাজ্জুদ রাসূলের জন্য ছিল নির্ধারিত নফল ছালাত (বনু ইস্রাঈল ৭৯)। অন্যদেরকেও রাত্রির নফল ছালাত আদায়ে উৎসাহিত করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ফরয ছালাতের পর সর্বোত্তম ছালাত হল রাতের ছালাত (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৩৯)। তিনি বলেন, আল্লাহ্র নিকট প্রিয়তম নেক আমল হল যা নিয়মিত করা হয়। যদিও তা কম হয় (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১২৪২)। কিন্তু দুর্বল মানুষ সবসময় একটি নেক আমল নিয়মিতভাবে করতে সক্ষম হয় না। সেকারণ তিনি বলেন, তাহাজ্জুদের নিয়তে ঘুমিয়ে গেলেও পরে যদি কেউ সময়মত উঠতে না পারে, তাহলে নিয়তের কারণে ঐ ব্যক্তি পূর্ণ নেকী পাবে এবং উক্ত ঘুম তার জন্য ছাদাক্বা হবে (নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, ইরওয়া হা/৪৫৪)। অন্যত্র তিনি বলেন, যদি কেউ আগ রাতে বিতরের পর দুরাকআত নফল ছালাত আদায় করে এবং শেষ রাতে তাহাজ্জুদে উঠতে সক্ষম না হয়, তাহলে উক্ত দুরাকআত তার জন্য যথেষ্ট হবে (দারেমী, মিশকাত হা/১২৮৬)। আল্লাহ বলেন, যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্য রয়েছে অবিচ্ছিন্ন পুরস্কার (হা-মীম সাজদাহ ৮, তীন ৬)। অতএব দুএক রাত ছুটে গেলেও তাহাজ্জুদের অভ্যাস জারি রাখা কর্তব্য।  রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, কেউ বিতর রেখে ঘুমিয়ে গেলে সে যেন সকালে বিতর পড়ে নেয় (তিরমিযী, মিশকাত হা/১২৬৮)। অন্য বর্ণনায় আছে, নবী করীম (ছাঃ) বলেন, কেউ বিতর রেখে ঘুমিয়ে গেলে অথবা ভুলে গেলে যখন স্মরণ হবে অথবা যখন ঘুম থেকে জাগবে, তখন সে যেন বিতর পড়ে নেয় (তিরমিযী, মিশকাত হা/১২৭৯)

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন